#গল্প:-সুচন্দ্রা
সত্যি আজ বড্ড দেরি হয়ে গেল ,বাড়ি গিয়ে নির্ঘাত দু'চার কথা শুনতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছাতে হবে। তবে মনে একটা শান্তি যে কলমী আজ তার প্রাপ্য অধিকার টা আজ পেয়েছে ,অবশ্য এর পুরো কৃতিত্ব সুচন্দ্রার। কত অসহায় মেয়ের সহায় হয়ে আছে সুচন্দ্রা আর তার NGO ' সবলা নারী কল্যাণ সেবানিকেতন '।
সুচন্দ্রা কলেজে পড়ার সময় থেকেই সমাজ সেবার প্রতি ঝোঁক। কলেজের কিছু বন্ধু মিলে বস্তির বাচ্চাদেরকে নিয়ে একটা স্কুল খোলে। বস্তির মেয়েদের স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করে। তারপর কলেজ শেষ, সব নিজের নিজের জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সুচন্দ্রার বিয়ে হয়ে যায় এক পুলিশ অফিসারের সাথে। এখন সে পুরো সংসারী মানুষ। তবু তার সমাজসেবা করার নেশাটা ছাড়তে পারেনি। তাই নিজের একান্ত ইচ্ছায় খোলে 'সবলা নারী কল্যাণ সেবানিকেতন '।
বাড়ি ঢুকতে না ঢুকতেই শ্বাশুড়ীমায়ের তীব্র কটাক্ষ শুরু হলো ---বলি সারাদিন যে সমাজ সেবা করে বেড়াও, তা বাড়ির কাজ কে করবে শুনি, অনি আর মেঘনা তো এখনি চলে আসবে ;তাদের খাবার ব্যবস্থা কে করবে বলতে পারো? না এই বুড়ো বয়সে আমাকে হেঁসেল ঠেলতে হবে?
কেন মা, আমি তো সংসারের সব কাজ করে তবেই যাই, আবার এসেও তো সব কিছু একা হাতেই করি।আর মেঘনা তো রান্না করা খাবার খেয়ে অফিস যায়, আর অফিস থেকে ফিরে খেয়ে আবার রেস্ট নেয়, সেখানে আমি তো বাড়ির সব কাজ করে NGO যায় আবার ফিরে সব কাজ করি। আপনার কি একবার ও আমার কষ্টের কথা মনে হয় না মা। আমি এখনি রান্না ঘরে যাচ্ছি।
মেয়েটা আমার সেই সকালে একটু খেয়ে অফিস গিয়েছে, ছেলে টা তো সারাদিন চোর-ডাকাতের সাথে কাটায় কখন যে খায় তার কোন ঠিক নেই।
সেই তো মা শুধু ছেলে -মেয়ের কষ্ট টাই দেখলেন, বাড়ির বৌ'য়ের কষ্টটা চোখে পড়ল না আপনার। যাই হোক, আসুন সবাই খাবার তৈরি, খেয়ে নেবেন।
রান্না ঘরের সব কাজ করে ক্লান্ত শরীরের ঘরে এসে টেবিলে খাতা-পেন নিয়ে বসল একটা ভাষণ লিখতে বসল। কালকের সেমিনার টা খুব গুরুত্ব পু্র্ণ, অনেক গণ্যমান্য মানুষ আসবেন, সবকিছু ঠিক মতো হলে মোটা টাকা ডোনেশন পাওয়া যাবে ;তাতে আরও অনেক অসহায় মেয়েদের সাহায্য করা যাবে।
কি গো, তুমি আবার এত রাতে লিখতে বসলে নাকি চন্দ্রা ?শুতে আসবে না?
হ্যাঁ, শোবো, তার আগে কালকের ভাষণ টা তৈরি করি, এটার উপর নির্ভর করছে অনেক অসহায় মেয়ের জীবন।
অতসত বুঝি না, তুমি শুতে এসো, ব্যাস। সারাদিন ওই চোর -গুণ্ডা দের নিয়ে কাটায়, রাতে যদি একটু বৌ'য়ের আদর না পাই তো ভালো লাগে কার? ও সব পরে করো, আগে আমাকে সহবাস করতে দাও।
আজ থাক্ না অনি ও সব, কাজ টা আজ রাতেই করতে হবে ;কাল তো সময় পাবো না বলো।
বললাম তো তোমায়, আমি ও সব বুঝি না।বলেই জোড় করে আমাকে বিছানায় নিয়ে গিয়ে একে একে খুলে ফেল আমার গায়ের সব কাপড়। ব্রা'র হুক খুলতে না পেরে সজোরে টান মেরে ছিঁড়ে দিল। স্তন বৃন্তে কামড়ে রক্তাত করে দিল। সারা পিঠে তীব্র নখের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল। তোমার মাপনি দন্ড দিয়ে কত বার যে আমার যোনির গভীরতা মেপে চলেছ তার হিসেব কে রাখে।যন্ত্রনায় আমি ছটফট করে চলেছি, আমার চিৎকারের ভাষা তুমি বোঝোনি। আমার তীব্র কষ্টের চিৎকার কে তুমি শীৎকার ভেবে সুখ পেয়েছ। তুমি শুধু নিজের শরীরের সুখের কথা ভেবেছ,নিজের মাপনি দণ্ডের বৃষ্টিপাতের কথা ভেবেছ। তোমার তৃপ্তি হলে তুমি চলে যাও ঘুমের দেশে।তখন আমি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকি। একবার জানতে চাও না আমি ঠিক আছি কিনা। তুমি ও তো ধর্ষক, যাকে বলে বৈধ ধর্ষক। সমাজের নিয়ম নীতিতে আবদ্ধ।
আচ্ছা অনি, তুমি কি কখনো ভেবেছ, আমি কি চাই?কিসে আমার অর্গাজম হয় ?আমি যখন তোমার কাছে যায় একটু তোমার সাহচর্য লাভের আশায়, তখন তুমি সজোড়ে ধাক্কা মেরে দূরে সরিয়ে দাও আমাকে। আবার তোমার যখন ইচ্ছা তখন জোর পূর্বক আমার শরীর তুমি ভোগ করো। আমি কি যাই, আমার কি ইচ্ছা তুমি তা কোনদিন জানতে চাও নি। তোমার কাছে বিয়ে মানে তো শুধু সহবাস। সমাজের বৈধ লাইসেন্স প্রাপ্ত বৈধধর্ষণ।
অনেক রাত হয়ে গেছে, সুচন্দ্রা বাথরুম গিয়ে স্নান করে নিল, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের উন্মুক্ত ক্ষতবিক্ষত শরীরটাকে দেখল ;আর মনে মনে ভাবতে লাগল সমাজের রক্ষক কি ভাবে নিজের বিবাহিতা স্ত্রীকে ভক্ষণ করল। আমি নিজে কতটা অসহায় এ কথা কাকে বলব, তবে নিজের জন্য কিছু করতে না পারলেও অন্য অসহায় মেয়েদের জন্য তো করতে পারছি, এতেই আমার পরম সুখ, পরম প্রাপ্তি।।।
- Bangla Poetry Caption
- Bangla Poetry Lines
- Bangla Poetry About Life
- Bangla Poetry books
- Bangla Poetry status
- Bangla Poetry english
- Bangla Poetry lyrics
- Bangla Poetry recition
- Bangla Poetry nazrul
- Bangla Quotation
- Bangla Quotes on life
- Bangla Quotes on Love
- Bangla Quotes for dp
- Bangla Quotes sad
- Bangla Quotes motivational
- Bangla Quotes for bio
- Bangla Quotes for free book
- Bangla Quotes about Life
- Bangla Quotes for free